জীবনযাপন বিভাগের সকল পোস্ট

হাতের-পায়ের তালুতে জ্বালাপোড়া-কি করনীয়?

অনেক মানুষেরই হাত ও পায়ের তালুতে জ্বালা পোড়া অনুভূত হয় । বিশেষ করে রাতে বিছানায় গেলে সমস্যা বেশি দেখা যায়, এমনকি শীতের রাতে হাত ও পা কম্বল বা লেপের ভেতরে রাখতে পারেন না বাইরে রাখতে হয়। এই রোগটি ৩৫-৪০ উর্ধে লোক বিশেষ করে মহিলাদের বেশি হয়ে থাকে আবার গর্ভাবস্থায়ও অনেকের হাত-পা জ্বালা পোড়ার সমস্যা দেখা দেয়। তবে গরমকালে অনেকেরই হাত-পা জ্বালা পোড়ার প্রবণতাটি অনেকাংশে বেড়ে যায়। মাঝে মাঝে এর প্রকোপতা এত বেশি হয় যে হাত ও পায়ের পাতা দুটি যেন মরিচ লাগার মতো জ্বলে, কখনও সুঁই ফোটার মতো বিঁধে ঝিম ঝিম করে বা অবশও লাগে।

হাতের তালু, পায়ের পাতা খুব ঘামে -এখন উপায়?

অনেকেই আছে এমন যে লিখতে গেলে কিছুক্ষণ পর পরই হাত খুব ঘেমে যায়। তখন বার বার হাত মুছে নিতে হয়। এই সমস্যার কারণে শুধু লিখার সময়ই না, কারো সাথে হাত মিলাতে গেলেও লজ্জাজনক অস্বস্তিতে পড়তে হয়। আবার অনেকের পা খুব ঘামে। মোজা পড়লেও অস্বস্তি হয় আবার মোজা না পড়লেও পা ঘামানোর কারণে পছন্দের জুতা পরতে পারেন না। পা পিচ্ছিল হয়ে যায়, গন্ধ হয় খুব। এইসব কারণ আপনাকে পরিচিত বা বন্ধু সমাজে একা করে ফেলবে। এই সমস্যার নাম ‘হাইপারহাইড্রোসিস’। সমস্যা যেমন আছে তেমনি কিছু সমাধানও আছে। জেনে নিন সমাধানগুলো এবং নিজের জীবনে কাজে লাগান।

ত্বকের সতেজতা ফিরিয়ে আনতে কী খাবেন

শুধু নির্দিষ্ট কোনো অনুষ্ঠানের জন্য বা সাময়িকভাবে নয়, সারা জীবন ত্বকের স্বাভাবিক সৌন্দর্য ধরে রাখতে নির্দিষ্ট একটা ডায়েট মেনে চলা উচিত। নিয়ম মেনে প্রতিদিনই সুষম খাবার খেতে হবে। বিশেষ করে যেগুলো খেলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় থাকে, সেগুলো প্রতিদিন খেতে হবে। এতে সব সময় ত্বক ভালো থাকবে। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে। প্রতিদিন ৩ থেকে সাড়ে ৩ লিটার। খেতে হবে দুধ, দই, স্যুপ, ফলের রসের মতো স্বাস্থ্যসম্মত তরল খাবার; যা ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন পরিমাণমতো ভিটামিন সি (লেবুজাতীয়), ভিটামিন কে (সবুজ শাকসবজি, মাছ, ডিম, সবজি, টমেটো, ডুমুর), ভিটামিন ই (বিভিন্ন ধরনের উদ্ভিজ্জ তেল, বিচি ও বাদামজাতীয় খাবার, ফল ও সবজি), ভিটামিন বি১২ সমৃদ্ধ ফল-সবজি, শাক; যা মলিন হয়ে যাওয়া ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে।

চুলের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে কিছু ঘরোয়া টিপস

চুলে খুসকি - লেবুর রস ব্যবহার করুন। চুল ঝরে পরছে - পেয়াজের রস আর ডিমের সাদা অংশ মিশিয়ে বানিয়ে নিন প্যাক, সাথে দিতে পারেন আমলকির গুড়া। চুল রুক্ষ - মেথির পেস্ট আর এ্যলোভেরার জুস ব্যবহার করুন। শ্যাম্পুর সাথে লেবু এবং চিনি গ্রেট করে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। চুল বড় হচ্ছে না - আলুর রস, একটি ডিম এবং পেয়াজের রস মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে সপ্তাহে দুই দিন ব্যবহারেই ফল পাবেন। আরো একটি কথা, পান পাতার রস কিন্তু চুলের বৃদ্ধি ঘটায়। চুল পেকে যাচ্ছে - কালোকেশির রসের নেই কোন তুলনা। সপ্তাহে দুই দিন এই রস পুরো চুলে লাগিয়ে নিবেন। এছাড়া ব্যবহার করতে পারেন লালকুশের গুড়া। আগা ফাটার সমস্যা- চুলের আগা তিন মাস পর পর কেটে ফেলুন। আর হ্যা চুলে ব্যবহার করতে পারেন মেহেদী এবং জবাফুলের পেস্ট।

ডায়াবেটিসের ঝুঁকি সম্পর্কে যেসব জানা জরুরি

এছাড়া যে কোন ব্যক্তিই এই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হতে পারেন। শরীর যখন রক্তের সব চিনিকে (গ্লুকোজ) ভাঙতে ব্যর্থ হয়, তখনই ডায়াবেটিস হয়। এই জটিলতার কারণে মানুষের হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক হতে পারে। এছাড়াও ডায়াবেটিসের কারণে মানুষ অন্ধ হয়ে যেতে পারে, নষ্ট হয়ে যেতে পারে কিডনি এবং অনেক সময় শরীরের নিম্নাঙ্গ কেটেও ফেলতে হতে পারে। সারা বিশ্বেই এই সমস্যা বেড়ে চলেছে। বর্তমানে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ৪২ কোটিরও বেশি। ৩০ বছর আগের তুলনায় এই সংখ্যা এখন চার গুণ বেশি- এই হিসাব বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার।

কোন ক্যানসারের কী উপসর্গ

সারা বিশ্বের মানুষকে ক্যানসার সম্পর্কে সচেতন করতে প্রতিবছর ৪ ফেব্রুয়ারি উদ্‌যাপিত হচ্ছে বিশ্ব ক্যানসার দিবস। চিকিৎসার কোনো পর্যায়েই যেন কোনো রোগী তাঁর মনোবল না হারান, সে লক্ষ্যেই সচেতনতা বাড়ানো হয়। তবে এটি মনে রাখতে হবে প্রতিষেধকের থেকে প্রতিরোধই উত্তম। ক্যানসার প্রতিরোধের জন্য বেশি প্রয়োজন লক্ষণগুলো সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখা ও সচেতন থাকা। বিভিন্ন ক্যানসারের লক্ষণ বিভিন্ন ধরনের হয়। অনেক সময় একটি ক্যানসার বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ নিয়ে আসতে পারে। আবার কখনো কখনো এক স্থানের ক্যানসার অন্য স্থানে ছড়িয়ে গেলে রোগী সম্পূর্ণ ভিন্ন উপসর্গ নিয়ে আসতে পারে। তবে পরিচিত ক্যানসারগুলোর কিছু সতর্কসংকেত আছে। সবারই উচিত এসব দেখা দিলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া।

টিকায় ঠেকায় ক্যানসার

জীবাণু নানা রকমের—ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাক (ফাঙ্গাস), প্যারাসাইট। ১৫ থেকে ২০ শতাংশ ক্যানসারের জন্য দায়ী জীবাণুর সংক্রমণ। তবে একটা বিষয় জানা দরকার যে সংক্রমণের মতো ক্যানসার কোনোক্রমেই ছোঁয়াচে রোগ নয়। কিন্তু কিছু কিছু সংক্রমণ দীর্ঘ মেয়াদে থাকলে কোষের পরিবর্তন করে ক্যানসারের সূচনা করতে পারে। এক-তৃতীয়াংশের বেশি ক্যানসার প্রতিরোধযোগ্য। এটা সম্ভব জীবনযাপনে কিছু বর্জন আর কিছু গ্রহণের মাধ্যমে। এর মধ্যে টিকার ভূমিকাও আছে। টিকা অন্তত দুটি ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকিয়ে কয়েকটি ক্যানসার থেকে সুরক্ষা দিতে সক্ষম। একটি হলো হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস এবং অন্যটি হেপাটাইটিস বি ভাইরাস।

  বিভাগ

  সর্বাধিক পঠিত

ঢাকার সেরা নবজাতক ও শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের তালিকা....



শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার শিশুর জন্মের পর থেকে ১২ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের সকল ধরনের রোগের চিকিৎসা করে থাকেন। আভিজ্ঞ শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার খুজুন।

খুলনার সেরা লিভার এবং গ্যাস্ট্রোলজী বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের তালিকা....



গ্যাস্ট্রোলজিস্ট চিকিৎসক রোগীর গ্যাস্ট্রিক এবং লিভার সহ পেটের সকল সমস্যার চিকিৎসা করেন। গ্যাস্ট্রোলজী ডাক্তার খুঁজে নিন।

খুলনার সেরা কিডনী বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের তালিকা....



কিডনী বিশেষজ্ঞ ডাক্তার- জন্মগত কিডনি ছোট/বড়, কিডনি সমস্যা জনিত শারীরিক সমস্যা, পায়ে পানি আসা ও ফুলে যাওয়া, প্রস্রাব কম/বেশী হওয়া, প্রস্রাবে জ্বালা যন্ত্রণা হওয়া, পুরুষাঙ্গে ব্যাথা, চুলকানি ও কিটকিট করে কামড়ানো, কিডনির পাথর সহ সকল ধরনের কিডনির সমস্যার চিকিৎসা করে থাকেন।