বিস্তারিত পোস্ট

গ্যাস্ট্রিক আলসার কে চিরতরে বিদায় করার উপায়


প্রকাশিতঃ 9 February, 2021, বিভাগঃ জীবনযাপন, পঠিত হয়েছেঃ ২৪৮৩ বার
গ্যাস্ট্রিক আলসার, এই রোগটির সাথে সবাই খুব সুপরিচিত। আর এটি ডাক্তারি ভাষায় বলে পেপটিক আলসার ডিজিজ কিংবা গ্যাস্ট্রিক আলসার ডিজিজ বলা হয়। তবে সাধারন মানুষের কাছে এই রোগটি গ্যাস্ট্রিকের ব্যাথা, গ্যাসের ব্যাথা, পেটের আলসার, খাদ্যনালীর ঘা ইত্যাদি নামে পরিচিত। গ্যাস্ট্রিক আলসার রোগটি অগোছালো জীবন-যাপন, অনিয়মিত খাবার গ্রহণ, খাবার বাছাইয়ে অসতর্কতা ও অজ্ঞতা এ রোগের পিছনে বড় কারন।
 
গ্যাস্ট্রিক আলসার রোগের লক্ষণ

১. বুক জ্বালাপোড়া করা,

২. মাত্রাতিরিক্ত হেচকি ওঠা,

৩. টক বা তিক্ত স্বাদের ঢেকুর তোলা,

৪. পেটের উপরের অংশে গরম অনুভূত যাওয়া,

৫. বুকের পেছনের অংশে বা মেরুদণ্ডে ব্যথা,

৬. বমি বমি ভাব ও বমি হওয়া।

৭. ক্ষুধামন্দা,

প্রতিকারের উপায়
ডাক্তারি পরামর্শ মোতাবেক ওষুধ সেবন ও খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন এনে সহজেই এ রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারেন। চলুন প্রতিকারের কয়েকটি সহজ উপায় জেনে নেই-

১. এলকোহল ও ক্যাফেইন যুক্ত খাবার (যেমন: চা, কফি ইত্যাদি) বর্জন করা।

২. ভাজাপোড়া ও মশলাযুক্ত খাবার কম খাওয়া।

৩. সামুদ্রিক তৈলাক্ত মাছ বেশি করে খাওয়া। কারন এ ধরনের মাছে ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি এসিড থাকে যা প্রোস্টাগ্লাণ্ডিন তৈরিতে সাহায্য করে। এই প্রোস্টাগ্লাণ্ডিন আলসার শুকাতে সাহায্য করে।

৪. ভাতের সাথে অতিরিক্ত লবন (কাঁচা লবন) না খাওয়া। কারন খাবার লবনে যে অতিরিক্ত সোডিয়াম থাকে তা
আলসার তৈরিতে সহায়তা করে।

৫. ভিটামিন-এ, সি ও ই যুক্ত ফল-মূল ও শাক-সবজি বেশি পরিমানে খাওয়া। এ সকল ভিটামিন আলসারের ঘা শুকাতে সাহায্য করে।

৬. এসপিরিন ও ব্যাথানাশক ওষুধ এড়িয়ে চলা। এগুলো প্রোস্টাগ্লাণ্ডিনকে বাধা দেয়। ফলে নতুন করে আলসার তৈরি হয়।

৭. প্রচুর পরিমাণ পানি পান করা। এতে অতিরিক্ত এসিড নিষ্ক্রিয় (নিউট্রালাইজ) হয়ে যাওয়ায় আলসারের ঝুঁকি কমে।
 
সুত্রঃ সময় নিউজ

  বিভাগ

  সর্বাধিক পঠিত

বরিশালের সেরা প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ এবং বন্ধ্যাত্ব বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের....



স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মহিলা প্রজনন স্বাস্থ্য, জরায়ু, ফ্যালোপিয়ান টিউব এবং ডিম্বাশয় ও স্তনসহ সকল ধরনের মেয়েলী সমস্যার চিকিৎসা করেন। আভিজ্ঞ স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার খুঁজে নিন।
 বিস্তারিত

খুলনা মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালের সার্জারি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের তালিকাঃ....



জেনারেল সার্জনরা সকল ধরনের সার্জারি করেন। সেরা জেনারেল সার্জন খুঁজুন।
 বিস্তারিত

কোন ক্যানসারের কী উপসর্গ....



সারা বিশ্বের মানুষকে ক্যানসার সম্পর্কে সচেতন করতে প্রতিবছর ৪ ফেব্রুয়ারি উদ্‌যাপিত হচ্ছে বিশ্ব ক্যানসার দিবস। চিকিৎসার কোনো পর্যায়েই যেন কোনো রোগী তাঁর মনোবল না হারান, সে লক্ষ্যেই সচেতনতা বাড়ানো হয়। তবে এটি মনে রাখতে হবে প্রতিষেধকের থেকে প্রতিরোধই উত্তম। ক্যানসার প্রতিরোধের জন্য বেশি প্রয়োজন লক্ষণগুলো সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখা ও সচেতন থাকা। বিভিন্ন ক্যানসারের লক্ষণ বিভিন্ন ধরনের হয়। অনেক সময় একটি ক্যানসার বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ নিয়ে আসতে পারে। আবার কখনো কখনো এক স্থানের ক্যানসার অন্য স্থানে ছড়িয়ে গেলে রোগী সম্পূর্ণ ভিন্ন উপসর্গ নিয়ে আসতে পারে। তবে পরিচিত ক্যানসারগুলোর কিছু সতর্কসংকেত আছে। সবারই উচিত এসব দেখা দিলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া।
 বিস্তারিত